গাজোল

আবার পাল্টি খেলেন গাজলের প্রাক্তন বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস

 

ঘোষণা হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। তাই যতই দিন পেরোচ্ছে ততই সরগরম হয়ে উঠছে মালদা জেলার রাজনৈতিক আকাশ-বাতাস। ফলে চরম ব্যস্ততা বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে। আর এই সময়ই পদ্ম শিবিরে ভাঙন ধরাল ঘাসফুল। আরও একবার সংবাদ শিরোনামে গাজোলের প্রাক্তন বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস।

    গাজোল বিজেপিতে ভাঙন ধরালো তৃণমূল। প্রাক্তন বিধায়ক দিপালী বিশ্বাস বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে। একই সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁর স্বামী ও এলাকার পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রঞ্জিত বিশ্বাস। এদিন বিকেলে গাজোলের কদুবাড়ী মোড় এলাকায় আনুষ্ঠানিক যোগদান পর্ব হয়। সেখানে দিপালী বিশ্বাসের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের মালদা জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী এবং উত্তর মালদা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়।

    উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সিপিএমের টিকিটে গাজোলে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন দিপালী বিশ্বাস। এরপর প্রথমে তৃণমূল ও পরে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এদিন ফের ফিরলেন পুরনো দল তৃণমূলে। দল তাঁকে গ্রহণ করায় নেতৃত্বকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লোকসভা ভোটে সকলকে নিয়ে কাজ করে দলকে সুবিধাজনক অবস্থায় পৌঁছনোর অঙ্গীকার করেন দিপালী বিশ্বাস।

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সি বলেন, সারা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিতে ধ্বস নামছে। সেই মতো মালদাতেও নেমেছে। আগামি দিনে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে বহু মানুষ তৃণমূলে যোগদান করবেন। সেই সঙ্গে এই উত্তর মালদা কেন্দ্রে তাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয় লাভ করবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

 

    যদিও প্রাক্তন বিধায়কের এই যোগদানকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন গাজোল বিধানসভার বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন। তিনি জানিয়েছেন স্বার্থের জন্য বিজেপিতে এসেছিলেন, এখন ফের স্বার্থের জন্য তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তবে বিজেপি তাদের যোগ্য পদমর্যাদা দিয়েছিল বলে তিনি মনে করেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করাতে দলে কোনরকম কোন প্রভাব পড়বে না তা পরিষ্কার করেছেন বিধায়ক।